মূল বিষয়ে

আর্কাইভ:

ট্যাগ: ইতিহাস

ভিম এলো কোথা থেকে

ভিম কোথায় নেই। ম্যাকওএস‑এ ভিম প্রি-ইন্সটল করা থাকে, লিনাক্স তো ভিমের অবারিত চারণভূমি। এমনকি ভিম যাদের ভালো লাগে না, তারাও এর সাথে পরিচিত; অনেক প্রচলিত কমান্ডলাইন টুল সুযোগ পেলেই ভিম খুলে বসে। আর অনভ্যস্তরা ভিমে ঢুকে বের হতে পারছে না, এইটা তো প্রযুক্তি জগতে অন্যতম একটা মিম

তবে ভিম একটা রহস্যও বটে। সিংহভাগ চেনাজানা সফটওয়্যার প্রকল্পগুলির উৎস সহজেই জানা যায়, কিন্তু ভিম কোথা থেকে কার মাধ্যমে আসছে তা বের করা তেমন সোজা না। এত জনপ্রিয়তা আর গুরুত্ব সত্ত্বেও ভিমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট কমিটি বা প্রতিষ্ঠান চোখে পড়ে না। ভিমের ওয়েবসাইটে গিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ঘোরাঘুরি করেও হয়ত কে একে বানালো কেন বানালো এইসবের উত্তর পাবেন না। কোনো আর্গুমেন্ট ছাড়া ওপেন করলে ভিমের স্টার্টআপ স্ক্রিনে লেখা আসে, এটা নাকি “Bram Moolenaar et al.”-দের লিখিত। কিন্তু ব্রাম মুলেনার টা কে? আর ওই রহস্যঘেরা “et al.”-ই বা কারা?

এত প্রশ্নই যখন করছি, আরও জরুরি প্রশ্ন হতে পারে, ভিম থেকে বের হতে হলে কেন :wq টাইপ করতে হয়? হ্যাঁ, জানা থাকলে বোঝা যায়, এটা আসলে “write” এর পর “quit”, কিন্তু এটা কয়জন শুরুতেই বুঝতে পারে? কে ঠিক করলো যে ভিমে টেক্সট কপি করাকে “ইয়াঙ্ক করা” বলতে হবে? টেক্সট খুঁজে বের করে প্রতিস্থাপনের জন্য কেন :%s/foo/bar/gc এরকম ম্যাজিক লিখতে হবে? ভিমের অদ্ভুতুড়ে বৈশিষ্ট্যগুলো এতই অস্বাভাবিক, যে কোনো কারণ ছাড়াই এগুলো ঠিক করা হয়েছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এই ধারণাগুলো কোত্থেকে আসলো?

(বিস্তারিত…)

উইন্ডোজ কী এর নাম কী?

একটা বাধাহীন মুক্ত সিস্টেম চালানোর সময়ও যদি চোখের সামনে কীবোর্ডের ওপর উইন্ডোজ লোগোটা ভাসতে থাকে, তাহলে অতিষ্ঠ হয়ে অন্তত লোগোটা মুছে ফেলা সম্ভব; কিন্তু তারপরেও বোতামটার কথা বলতে গেলেই উইন্ডোজের নাম নেয়া হয়ত অস্বস্তির কাজ। এই ঝামেলা থেকে রেহাই দেবার জন্য মাইক্রোসফ্টের বাইরে তাদের উইন্ডোজ লোগো কী টাকে Super, এবং Mod4 এই দুই বিকল্প নামে ডাকা হয় (সুপার বেশি প্রচলিত)। এই নাম কিন্তু shuf কমান্ডে লটারি করে পাওয়া না, এর পেছনে রীতিমত ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে।

(বিস্তারিত…)